অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলের মণিপুর রাজ্যে দুই নারীকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর মূল অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন দিয়েছে স্থানীয় নারীরা। শুক্রবার (২১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
গহ ৩ মে মণিপুরে কুকি ও মেতিস জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বেধে যায়। এর একদিন পর দুই উপজাতি নারীকে বিবস্ত্র করে হাঁটানো এবং গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
বুধবার (১৯ জুলাই) ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে সবাই নড়েচড়ে বসেন এবং দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করানোর ঘোষণা দেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার মূল হোতাকে আটক করে পুলিশ। এরপর তার বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষুব্ধ নারীরা।
মণিপুরের রাজধানী ইম্ফালের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা হেমন্ত পান্ডে বলেছেন, ‘স্থানীয় নারীরা প্রধান অভিযুক্তের বাড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং বাড়ির কিছু অংশ আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছেন। আমরা নারীদের শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করার জন্য অনুরোধ করেছি, কারণ সেখানে এখন অস্থিরতা চলছে। আমরা তাদের ক্রোধের কারণ বুঝতে পারছি।’
এদিকে জাতিগত এসব দাঙ্গা ও হাঙ্গামায় মণিপুরে এখন পর্যন্ত ১৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কয়েক হাজার।
দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার পর আধাসামরিক বাহিনী আসাম রাইফেলস ও সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও টানা কয়েকদিন সেখানে রক্তপাত চলতে থাকে। সূত্র: রয়টার্স
Leave a Reply